সুনামগঞ্জ জেলার ব্যাপক পরিচিত ও তরুণ উদীয়মান সাংবাদিক মোঃ নাঈম তালুকদারের বিরুদ্ধে শাল্লার প্রশাসনের আজ্ঞাবহ খ্যাত কিছু হলুদ সাংবাদিক নিজেদের পেশাদারিত্ব ভুলে, কাল্পনিক ও মিথ্যে অভিযোগ এনে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই হাস্যকর ভাবে সাংবাদিক নাঈম তালুকদারকে শাল্লার সাংবাদিকদের কাছে চাঁদাবাজি ও অতিষ্ঠ করে তোলার অভিযোগ উত্তাপন করেছেন!
এব্যাপারে অভিযুক্ত সাংবাদিক নাঈম তালুকদার বলেন আমার উপর আনিত অভিযোগ সবই মিথ্যা,বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে শাল্লার হাওর রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর বেরিয়েছে। আমিও একজন ক্ষুদ্র সংবাদ কর্মী হিসেবে সে নিউজ পরিবেশন করেছিলাম। সুনির্দিষ্ট তথ্যের আলোকে নিউজ করা হয়েছে।
তারপরও প্রকাশিত সংবাদে ভিন্নমত থাকলে উনাদের নির্দোষ হওয়ার প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারতেন, তা- না করে তাদের অনিয়মের রিপোর্টাকারী সাংবাদিকের নামে কোনো ধরনের সূত্র ছাড়া আজগুবি ও কল্পনাপ্রসূত মিথ্যে এবং বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে বিপ্লব ও আনিছুল গং অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে পিআইসি গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং প্রতিহিংসার পরায়ণ হয়ে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করেছেন। আমি মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদেরকে সংবাদ প্রত্যাহার এবং ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানাই, অন্যতায় নিউজ পোর্টাল সহ সংবাদদাতা হোতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের সারসংক্ষেপঃ খবরে প্রকাশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতে অলিখিতভাবে কয়েকজন আজ্ঞাবহ সাংবাদিক নিয়োগ দিয়েছে।
জানা গেছে উপজেলা কমিটি দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা বিরোধী প্রকল্প গ্রহণ করায় স্থানীয় সাংবাদিক বিপ্লব রায়, শান্তকুমার দাস, আনিসুল হক মুনসহ তাদের বলয়ের কয়েকজন সাংবাদিক অনিয়ম নিয়ে সংবাদ তৈরির হুমকি দেন। তাদের মুখ বন্ধ করতে এবং বাঁধের কাজের দুর্নীতি আড়াল করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম কৌশলে এই সাংবাদিকদের ১৫ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প উপহার হিসেবে দান করেন। এই প্রকল্পে বিপ্লব রায়কে সভাপতি ও শান্তকুমার দাসকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তবে চতুর বিপ্লব রায় তার বদলে প্রকল্পে তার পিতা বরেন্দ্র রায়ের নাম অর্ন্তভূক্ত করেন। কমিটির অন্য সদস্য হলেন, সাংবাদিক আনিসুল হক মুন। তিনি সিলেটে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত থাকলেও তার বলয়কে খুশি রাখতে তাকেও প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এছাড়া প্রকল্পে ৫ জন সদস্য থাকার কথা থাকলেও একটি নাম খালি রাখা হয়েছে। এখানে সাংবাদিক বকুল তালুকদারকে সদস্য করা হবে বলে বিশ্বস্থ সূত্র জানিয়েছে।
কৃষক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতি নিয়ে কোন পত্রিকায় কিছু প্রকাশিত হলে প্রকল্প উপহার পাওয়া এই সাংবাদিকরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে নির্লজ্জ প্রচারণায় নামেন। এভাবেই তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতি ও অনিয়ম আড়াল করার অপচেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বলেন, ১৩ নং প্রকল্প উপহার পাওয়া সাংবাদিকরা অতীতেও প্রশাসনের দুর্নীতি আড়াল করতে অপসংবাদ করেছেন। তারা স্থানীয় কোন সাংবাদিক কর্তৃক দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করলে তারা সংঘবদ্ধভাবে দুর্নীতির পক্ষে নির্লজ্জভাবে সাফাই গান। এভাবে জোট বেধে তারা ফায়দা হাসিলের জন্য এসব অপকর্ম করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সাংবাদিকদের প্রকল্প প্রদানের বিষযটি নিশ্চিত করে বলেন, প্রকল্প গ্রহণে কোন অনিয়ম হয়নি বলে জানান তিনি।
বিঃদ্রঃ ৭১ টিভি চ্যানেল সহ একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালে উপরোক্ত প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর বেরিয়েছে।