মো. বদরুজ্জামান বদরুল, সুনামগঞ্জ থেকে :সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের জগদল গ্রামের বহুল আলোচিত প্রতারক আক্কল আলীর প্রতারণা নিয়ে দেশের শীর্ষ স্থানীয় যমুনা টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার কিছু দিন যেতে না যেতেই বের হয় আক্কল আলীর আরেক প্রতারণার খবর।
জানা যায় দিরাই পৌরসভার মাদানী মহল্লার বাসিন্ধা হোসেন ম্যানশনের স্বত্বাধিকারী আবুল হোসেন শরীফের দোকানের ভাড়া ও বিভিন্ন মূলব্যান আসবাপত্র নিয়ে আক্কল আলী ও তার সহযোগী মাতারগাও গ্রামের বাসিন্ধা আমিরুল ইসলাম প্রতারণা করেছেন বলে হোসেন ম্যানশনের স্বত্বাধিকারী আবুল হোসেন শরিফ অভিযোগ করেছেন । অনুসন্ধানে জানা যায়, আক্কল আলী এক লন্ডন প্রবাসী জায়গায় জমি নিজের নামে দলিল পত্র করে দখল করে ও শেষ নয়৷ দিরাইয়ের বিভিন্ন মানুষ তার দ্বারা প্রতারিত। দিরাই উপজেলা রোডের বালুর মাঠে অবস্থিত হোসেন ম্যানসন আক্কল আলী ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি একাধারে এগার মাস ব্যবসা করার পর ও দোকান ঘরের ভাড়া দিতে অনিহা বোধ করেন। তিনি এই দোকান ঘরের ভাড়া ও মূল্যবান জিনিস নিয়ে প্রতারণা করেছেন বলে ঘরের স্বত্বাধিকারী আবুল হোসেন শরীফের জানিয়েছেন এই ঘরের এ যাবত প্রায় বার মাসের ভাড়া ও দোকান ঘরের মালামাল নিয়ে দিরাই উপজেলার সালিসি ব্যক্তিত্বরা আক্কল আলীর শরণাপন্ন হলে আক্কল আলী এ যাবত বার মাসের ভাড়া দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করেন। আক্কল আলীর বিভিন্ন কৌশলে সালিশ ব্যাক্তিদের কে এড়িয়ে গিয়ে অন্যের ভাড়া ও মাল ভক্ষণ করে নিজকে নিজে শাহানশাহ ভাবছেন৷ জগদল গ্রামের বাসিন্ধা খেলু মিয়া জানান, আক্কল আলী ও তার সহযোগী মাতারগাও গ্রামের আমিরুল ইসলাম হোসেন ম্যানশন থেকে চেয়ার ও টেবিল সহ বিভিন্ন মালামাল গাড়িতে উঠাইতে দেখে আমি জিজ্ঞেস করিলাম এই মালামাল আপনারা কই নিয়ে যান মালিকের অনুমতি ব্যতিত,। প্রতি উত্তরে আক্কল ও আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা জাকারিয়া ম্যানশনে নিয়ে যাচ্ছি। আমি বললাম জাকারিয়া ম্যানশন নিয়ে তো ঝামেলা চলতেছে। আক্কল বলেন, আপনি চুপ থাকেন মিয়া,।
ভোগক্তভোগী আবুল হোসেন শরিফ জানান, আমি প্রতারিত অবিশ্বাস্য ভাবে যাহা ঘটেছে কোন ভাবেই নিজেকে বিশ্বাস করতে পারতেছিনা। সভ্য সমাজে এদের দ্বারা অশান্তির ঘটনা ঘটতে পারে আমি ধারণা করতে পারি নাই। এই দুইজন ব্যাক্তি সমাজে প্রতিষ্ঠিত তাদের উপর আমার আস্থা বিশ্বাসের কোন কমতি ছিলো না। দীর্ঘ ১১ টি মাস ভাড়া বাকি রেখেও তাদেরকে আমার দোকান ঘরটি চালানো অনুমতি দেই। এবং ওনারা ভাড়া দেই/ দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করেন৷ আমি দিরাইয়ের বাহিরে সিলেটে জরুরী কাজে অবস্থান করায় ওরা জেনে যায় তারা সুযোগ বুঝে এই দোকান ঘরের সব মালামাল ও মূল্যবান কাগজ প্রত্র আমার অজান্তে সরিয়ে নিয়ে যান৷ আমি দিরাইতে আসার পর জানতে পারলাম এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করার পর প্রতি উত্তরে আক্কল আলী ও আমিরুল ইসলাম কোন সু উত্তর দিতে পারেন নাই। উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ সালিশের মধ্যস্থতা করলে কোন সুফল পাওয়া যায়নি। আক্কল আলী ও আমিরুল ইসলামের কর্ম কান্ড দেখে আমি হত্ম্ব্য। সুরক্ষিত এই সমাজে কিভাবে আমরা অরক্ষিত ভাবে নিরুপায়হীন হয়ে আছি। আমি সকলের প্রতি আহব্বান জানাই এই প্রতারকদের সমাজ থেকে বঞ্চিত করুন। এবং সচেতন হোন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আক্কল আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটা আমার ব্যাক্তিগত বিষয় নয়। সংগঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছে । আমি প্রতারণা করিনি,।