চকরিয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার স্বনামধ্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুটাখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের হেবাকৃত জায়গা দখল করে উক্ত জায়গার উপর প্রভাবশালী কর্তৃক অবৈধ স্হাপনা নির্মাণে স্কুল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,খুটাখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের হেবাকৃত জমির বি,এস দাগ নং-২২৮৬ এর ০.১৩ একর বা ৩৯ কড়া হেবাকৃত জায়গা দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ নয়াপাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সালাম কোম্পানি।জায়গাটি হল খুটাখালী গালস্ স্কুল রোর্ডের পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের সামনে।দেখা গেছে উক্ত জায়গার সামনে কয়েকটি দোকান ঘর ভাড়া দিয়েছে।অপর দিকে দোকানের পিছনে অবৈধভাবে বিল্ডিং বা দালান স্হাপনের কাজ করে চলছে।তোয়াক্কা করে না কারো বাধাঁ,এমন অভিযোগ তুলে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে উক্ত স্কুল কমিটির সভাপতি মাষ্টার শাহাব উদ্দিন ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন এর সাথে দেখা হলে,উনারা স্ব-ডকুমেন্ট দেখিয়ে বলেন,চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী মৌজার মূল বি,এস(মাদার) খতিয়ান-১১,আর,এস দাগ নং-১৩৯৫,বি,এস সিট নং-০২ এত এর সৃজিত বি,এস খতিয়ান-৬৯৬ এর বি,এস দাগ নং-২২৮৬এর ০.১৩(একর) ৩৯ কড়া জমি, বিগত ১৯৭০ সালের ৩০ জুন অত্র স্কুলের নামে উক্ত জায়গা হেবা করেন দেন,অত্র ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের মাইজ পাড়া গ্রামের স্হায়ী বাসিন্দা মৃত আব্দুল আলী’র পুত্র মৃত হাজী বদিউজ্জামান।এখন উক্ত জায়গার কাগজপত্র দেখিয়ে দখলদার আব্দুস সালাম কোম্পানিকে কাজে বাধাঁ দিলে আমাদের বাধাঁ তোয়াক্কা করেনি।পরে এবিষয়ে স্কুল কমিটিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্হানীয়ভাবে দফায়-দফায় বৈঠক হয়েছিল।সামাজিক বৈঠকে তিনি স্কুলের জায়গা বলে স্বীকারও করেন।কিন্তু জায়গা দিয়ে দিবে বলে ওয়াদা দিয়ে পরবর্তীতে জায়গা ছেড়ে না দিয়ে দূর্লোভের বশবর্তী হয়ে প্রভাব কাটিয়ে জোর-পূর্বক উক্ত জায়গার উপর দোকানপাট তৈরী করে ভাড়া দিয়েছে।এর পিছনে বাসাবাড়ী করার লক্ষে অবৈধভাবে পাকাঁ দালান নির্মাণে কাজ শুরু করেছে।বিধায় আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষগণ স্কুলের জায়গা অবৈধভাবে দখলদার হতে উদ্ধার করতে জেলা প্রশাসক-কক্সবাজার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার-চকরিয়া ও অফিসার ইনর্চাজ চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।ফলে অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৯জুন থানার এস আই মিজানুর রহমান সরেজমিনে তদন্তে এসেছিলেন।সুতরাং স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবী স্কুলের নামে রেকর্ডকৃত জায়গা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় দখলদারের হাত থেকে উদ্ধার করতে আন্তরিকতা কামনা করেন।এছাড়া প্রতিবেদকের কাছে রেকর্ডকৃত জায়গার সব ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে।