চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় লকডাউন অমান্য করে যাত্রী বহন করছিল। চট্টগ্রামমুখী অটোরিকশাটি আজ রবিবার বেলা দুইটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়াস্থ চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের চেকপোষ্টের সামনে গেলে সিগন্যাল দেয় পুলিশ।
সেই সিগন্যাল অমান্য করে হাইওয়ে পুলিশেরশরীফুল ইসলাম নামের এক কনস্টেবলকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কিছুদূর গিয়ে অটোরিকশা উল্টে গেলে গুরুতর আহত হয় এক শিশু যাত্রী। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সিএনজি অটোরিক্সা উল্টে মারা যাওয়া শিশুর নাম মো. নিশান (১৪)। সে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের মহেশখালী পাড়ার আবুল কাশেমের পুত্র এবং স্থানীয় একটি হেফজখানার শিক্ষার্থী।
অটোর ধাক্কায় গুরুতর আহত হাইওয়ে পুলিশের কনস্টবল শরীফুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে একযোগে হাইওয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। তাৎক্ষণিক চকরিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কয়েক রাউন্ড
ফাঁকা গুলিও ছুঁড়ে পুলিশ। এরপর সেনাবাহিনীরও একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি একেবারে শান্ত হয়ে আসে।
মহাড়কের বানিয়ারছড়াস্থ চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ও ইন্সপেক্টর মো. আনিসুর রহমান প্রতিবেদক কে বলেন, লকডাউন অমান্য করে মহাসড়কে নিষিদ্ধ অটোরিক্সা যাত্রী পরিবহন করার সময় সিগন্যাল দিলে হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল শরীফুল ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অটোটি। কিন্তু কিছুদূর গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারালে সড়কের ওপর উল্টে গিয়ে এক শিশু যাত্রী আহত
হয়। শিশু এবং পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা এবং গুরুতর আহত কনস্টেবলকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কিছু লোক মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে হাইওয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণের চেষ্টা হিসেবে ইট-পাটকেল ছোঁড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।