জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় কৃষি যন্ত্রপাতিতে উন্নয়ন সহায়তার আওতায় অর্ধেক সরকারী ভর্তুকী দিয়ে ধানকাটার যন্ত্র প্রদান করা হয়েছে। বুধবার বিকালে চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ধানকাটার এ যন্ত্রটি লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের মোঃ মন্জুল আলম নামের এক কৃষককে প্রদান করা হয়।
এই ধানকাটার যন্ত্রটি প্রদানের সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া পেকুয়া আসনের এমপি জাফর আলম বিএ(অনার্স)এমএ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ক´বাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কাশেম, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামশুল আলম তাবরীজ, চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন, চকরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হোসেন, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন, উপসহকারী কৃষি অফিসার রাজীব দে প্রমুখ। চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ্এস এম নাসিম হোসেন জানান, ধানকাটার এ যন্ত্রটি মূল্য ধরা হয়েছে ২৯লাখ টাকা। এই টাকার অর্ধেক সরকার ভর্তুকী দিয়েছে। বাকী অর্ধেক কৃষক মন্জুল আলম দিবেন। তৎমধ্যে তাকে নগদ দিতে হয়েছে প্রায় ৩লাখ টাকা। বাকী টাকাগুলো কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, হারভেষ্টার যুক্ত ধানকাটার এই যন্ত্রটি ঘন্টায় এক একর জমির ধান কেটে মাড়াই করে বস্তায় প্যাকেট করে দিতে সক্ষম। এক ঘন্টায় মাত্র ৪/৫ লিটার ডিজেল খরচ হবে। ইয়ানমার কোম্পানির তৈরী এ যন্ত্রটি সকল যন্ত্রাংশ দেশের বাজারে সহজে পাওয়া যায়। এক একর পরিমানের জমির ধান কাটতে কত টাকা খরচ যাবে এ প্রশ্নের জবাবে ক´বাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কাশেম বলেছেন সেটি কৃষক ও যন্ত্রটির পরিচালকের সাথে কথা বলেই ঠিক করা হবে। এখানে কৃষক ও যন্ত্রটির মালিক দু’পক্ষের স্বার্থ বিবেচনায় আনা হবে। তিনি জানান, ধানকাটার যন্ত্রটি এই প্রথমবারের মত চকরিয়া বা এতাদঞ্চলে আনা হয়েছে।