জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ
করোনা ভাইরাসে পুরো কক্সবাজার যখন লকডাউন।এসময় ঘরবন্দি হয়ে মানুষ।ফলে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাটে ২দিনে ১২শত ফার্ম মুরগীর মৃত্যূ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ২১ ও ২২ এপ্রিল ডুলাহাজারা ইউপির মালুমঘাটস্হ ১নং ওয়ার্ডের রিংভং ছগিরশাহকাটা নুরুল আলম ফার্মে ১২শত মুরগী আকস্মিক মৃত্যূর এ ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,নুরুল আলমের ২টি ফার্মে ১৬শত মুরগী ছিল।হঠাৎ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়াই ফার্ম মালিক একটি মুরগীও বিক্রি করতে পারেনি।ফলে গত দুইদিনে আকস্মিত ১২শত মত মুরগীর মৃত্যূ দেখে হতবাক।এতে প্রায় ৩লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফার্ম মালিক নুরুল আলম জানান,গত ২১মার্চ চকরিয়া বাস র্টামিনালস্হ মেসাস অঙ্গীকার পোল্ট্রি এন্ড ফিস ফিড সেন্টার মালিক রুহুল কাদের থেকে ১৬শত মুরগী বাচ্চাসহ খাদ্য ও ওষুধ ক্রয় করে এনেছি।তবে আমি নগত টাকা না দিয়ে ৪ লক্ষ টাকার খালি চেক দিয়ে এনে ব্যবসা করছি।তবে শর্ত থাকে মুরগীর দেখভাল দায়ীভার বিক্রিত ফার্ম রুহুলের উপর থাকে।দীর্ঘ কয়েক বছর এচুত্তিতে ব্যবসা চালিয়ে আসছি।হঠাৎ করোনা ভাইরাসে সংক্রমণে কোথাও মুরগী বেচা-বিক্রি করতে পারিনি।কিন্তু ২১ ও ২২ এপ্রিল দুইদিনে ১২শত মত মুরগীর মৃত্যূ হয়েছে।এর ২সপ্তাহ আগে থেকে মুরগীর অসুস্হতা রুহুলকে জানালেও আমাকে কোনভাবে সহযোগিতা করেনি।এখন আমার ৪ লক্ষটাকা খালি চেক দিয়ে নাকি আমাকে হয়রানি করবে এমন কথা শুনে র্দুচিন্তায় আছি বলে জানালেও খবর পেয়ে এদৃশ্য দেখতে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল আমিন দেখতে এসেছিল বলে জানান।
এবিষয়ে মেসাস অঙ্গীকার পোল্ট্রি এন্ড ফিস ফিড সেন্টারের মালিক রুহুল কাদের বলেন,নুরুল আলমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছি।তবে তাদের সাথে বাকী লেনদেন করি।বাকী দেয়ার ফলে আমি বিশ্বাসের জন্য খালি একটি চেক ও খালি স্ট্যাম্প নিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকার বাকী দিই।কারণ আমি মুরগীর বাচ্চা সরবরাহসহ খাদ্য ও ওষধু দিয়ে থাকি।কিন্তু দুঃখের বিষয়,করোনার কারণে আমাকে মুরগীর অসুস্হতার কথা জানালেও আমি ডাক্তার পাঠাতে পারেনি।বিধায় আমার সাথে ব্যবসা করার জন্য তাকে কিছু টাকা মওকূফ করার চিন্তা মাথায় রেখেছি।দেখা যাক করা যায় জানান।